বিদেশে উচ্চশিক্ষা: ক্যামব্রিয়ান কলেজ আছে শিক্ষার্থীদের পাশেই!
ভবিষ্যতের উজ্জ্বল স্বপ্ন চোখে নিয়ে একজন শিক্ষার্থী যখন এইচএসসি পরীক্ষার পর প্রস্তুতি নিতে শুরু করে, তখনই সে মূলত জানতে শুরু করে, কী কঠিন এক পথ তাকে পাড়ি দিতে হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চশিক্ষা পেতে হলে। বেশিরভাগই দেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে, আর কেউ কেউ দেশের বাইরে পড়ার সুযোগের জন্য এই সময়টাতে চেষ্টা করতে থাকে। ভর্তির মৌসুম এলে দেখা যায়, দেশের ভেতরে স্নাতক পর্যায়ে পড়াশোনার মান ধরে রেখেছে যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো, সেগুলোতে সব সিট পূরণের পরেও বাকি থেকে যায় আরও কয়েক লাখ শিক্ষার্থীর ভর্তির কাজ, যাদেরকে বেছে নিতে হয় মানহীন কোনো প্রতিষ্ঠানকে কিংবা এমন কোনো জায়গা, যেখানে পড়ার জন্য গুণতে হয় বিশাল অঙ্কের টাকা।
এসবকিছু চিন্তা করেই এই সময়টাতে অনেক অভিভাবক ভাবেন, সন্তানের জন্য অর্থ যদি ব্যয়ই হয়, তাহলে ভালো জায়গায় পড়াশোনার জন্যই ব্যয় হোক। কেউ আবার ভাবেন গুণগত মানের কথা। যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, জার্মানি, যুক্তরাজ্য, কানাডা, চীন, মালয়েশিয়ার মতো দেশগুলোতে এখন পড়ালেখার মান সারা বিশ্বে স্বীকৃত। সেসব জায়গায় একজন শিক্ষার্থী পড়ার সুযোগ পেলে তার জীবনটা হয়ে যায় একরকম নিশ্চিত, কারণ, নিজের পছন্দ ও সামর্থ্যের জায়গাটা বুঝে উঠে একজন প্রকৃত বিশ্বনাগরিক হয়ে ওঠার শিক্ষাটা সে পায় এমন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে।
দেশে মানসম্মত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়ার সুযোগ সীমিত থাকার কারণেই হোক, কিংবা বিদেশের পড়ালেখার ইচ্ছা আগে থেকেই থাকার কারণে হোক; যারা দেশের বাইরে যেতে চান উচ্চশিক্ষার জন্য, তাদেরকেও পেরুতে হয় অনেক দীর্ঘ প্রক্রিয়া। নিজেদের প্রস্তুত করে নেওয়া তো থাকেই, সাথে মেটাতে হয় নানারকম দাপ্তরিক জটিলতা। আনন্দের বিষয় হলো, ক্যামব্রিয়ান কলেজ তার শিক্ষার্থীদেরকে বিদেশে পড়াশোনা করার জন্য ‘এ টু জেড’ পরিকল্পনার অধীনে এনে কাজ করে চলেছে নিরলসভাবে!
ক্যামব্রিয়ান কলেজ তাদের পরিকল্পনার সূচনাটা কিন্তু করে একদম প্রথম থেকে। এখানকার প্লে গ্রুপের বাচ্চাদের পড়াশোনা থেকে শুরু করে একদম উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত- পুরো সময়ের সিলেবাস সাজানো হয় আধুনিক পৃথিবীর আধুনিকতম পড়াশোনার ধরনের কথা মাথায় রেখেই। ক্যামব্রিয়ানের এই পাঠ পরিকল্পনা সাজানোর দায়িত্বটা নেন বিশ্বের বিখ্যাত সব প্রতিষ্ঠানে কাজ করার অভিজ্ঞতাসম্পন্ন শিক্ষকেরাই। তাদের সুচারু পরিকল্পনার কারণে এখানকার একজন শিক্ষার্থী দেশের মাটিতে পড়াশোনা করতে করতেই যেন পরিচিত হয়ে যায় উন্নত বিশ্বের পড়ার ধরনের সাথে। ভাষা শিক্ষা হোক কিংবা বিজ্ঞান চর্চা হোক, সকল বিষয়েই যাতে একজন শিক্ষার্থী পরিপূর্ণ দক্ষতা অর্জন করতে পারে, সেটা মাথায় রেখেই তাদের পাঠ্যসূচি নির্ধারণ করা হয়। অভিজ্ঞ শিক্ষকমণ্ডলীর তত্ত্বাবধানে এখানে তারা গড়ে উঠে বিশ্ব প্রতিযোগিতায় লড়বার মতো যোগ্য হয়ে।
পড়াশোনার মাধ্যমে এখানে শিক্ষার্থীদের মাঝে যে বুনিয়াদ তৈরি হয়, তাকে আরও শক্ত কাঠামো দেয় সৃজনশীলতার চর্চা। বিভিন্ন ক্লাব-সংগঠনের মাধ্যমে সাহিত্য-সংস্কৃতি-শৃঙ্খলার চর্চা এই শিক্ষার্থীদেরকে শাণিত করে তোলে। এই সবকিছুর উপরে ভিত্তি করেই কিন্তু তাদের উচ্চশিক্ষার পথ তৈরি করে ক্যামব্রিয়ান। একজন শিক্ষার্থী যদি হঠাৎ করে অজানা-অচেনা পরিবেশে পড়াশোনা করতে চলে যায়, স্বাভাবিকভাবেই সেটা তার জন্য মানসিক চাপ তৈরি করবে, প্রথমেই সে পড়াশোনার গতি হারিয়ে ফেলবে, এমনকি হতাশায়ও ভুগতে পারে সে। ক্যামব্রিয়ান তাই তাদের শিক্ষার্থীদের এমনভাবে তৈরি করে, যাতে তারা কলেজে থাকতেই পরিচিত হয় আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থার সাথে, উন্নত শিক্ষার পরিবেশের সাথে। বিদেশের তীব্র প্রতিযোগিতামূলক জায়গায় কীভাবে জয়ী হয়ে উঠতে হবে তার প্রাথমিক ট্রেনিং দেওয়া হয় কলেজ ক্যাম্পাসেই।
এ তো গেল প্রাথমিকভাবে তৈরি হওয়ার কাজ। কলেজের পড়াশোনা শেষ করার পরেও আছে প্রস্তুতিমূলক অনেক কিছু। বিশ্ববিদ্যালয় বাছাই করা, বিষয় বাছাই, সে অনুযায়ী শর্তাবলী পূরণের জন্য নিজেকে তৈরি করা ইত্যাদি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য যদি সঠিক দিকনির্দেশনা না থাকে, তাহলে খেই হারিয়ে ফেলাটা খুবই স্বাভাবিক। ক্যামব্রিয়ান তার শিক্ষার্থীদের এসময় যাবতীয় পরামর্শ দিয়ে সহায়তা প্রদান করে, যাতে একজন শিক্ষার্থী মূল্যবান সময় নষ্ট না করে সরাসরি কাজে নেমে পড়তে পারে। এমনও কিছু প্রতিষ্ঠান আছে, যেখানে বাংলাদেশের চেয়েও কম খরচে মেডিকেল এবং ইঞ্জিনিয়ারিং এর সর্বোচ্চ পড়াশোনা করানো হয়, কিন্তু এসব তথ্য অনেকেরই জানা থাকে না। এদিকে ক্যামব্রিয়ানের অনেক শিক্ষার্থী ইতিমধ্যে এসব জায়গাতে পড়াশোনাই করছে। অর্থ্যাৎ ক্যামব্রিয়ানের শিক্ষার্থীদের আসলে এধরনের সুযোগ সুবিধাগুলো না জেনে থাকারই সুযোগ নেই!
এই প্রস্তুতির পর থাকে যোগাযোগের কাজ। কীভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে যোগাযোগ করতে হবে, ভর্তি প্রক্রিয়ার জন্য কী কী বিষয় প্রয়োজন হবে ইত্যাদি খুব দ্রুত সময়ের মধ্যেই জেনে-বুঝে কাজ সম্পন্ন করে ফেলতে হয়। ক্যামব্রিয়ানের শিক্ষার্থীরা এখানেও কলেজের সহায়তা পায়, ফলে দ্রুততম সময়ের মধ্যেই তারা জটিল ব্যাপারগুলোর সমাধান করে ফেলতে পারে। পাসপোর্ট হোক কিংবা ভিসা প্রসেসিং, সকল খুঁটিনাটি কাজেই কলেজের সহায়তার কারণে অন্য সবার চেয়ে এগিয়ে থাকে ক্যামব্রিয়ানের শিক্ষার্থীরা।
বিদেশে উচ্চশিক্ষার ব্যাপারে আরেকটি বড় বিষয় হলো বৃত্তি। আর্থিক অসঙ্গতি এখানে যেমন একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক, তেমনি মেধা অনুসারে বৃত্তি পাওয়াটাও শিক্ষার্থীদের জন্য একটি বড় সুযোগ। উচ্চশিক্ষার জন্য বিভিন্ন দেশে অনেক বৃত্তি দেওয়া হলেও প্রয়োজনীয় তথ্য আর নির্দেশনার অভাবে সেসব জানাই হয়ে উঠে না শিক্ষার্থীদের। কিন্তু ক্যামব্রিয়ান এই ব্যাপারে তার ছাত্র-ছাত্রীদের শুরু থেকেই সচেতন করে তোলে এবং প্রয়োজনীয় শর্ত পূরণ করে প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশনা দিয়ে দেয়। ফলে আকর্ষণীয় সব বৃত্তির সুযোগটাও পায় এখানকার শিক্ষার্থীরা। সবচেয়ে বড় ব্যাপার হলো, ক্যামব্রিয়ান যে শিক্ষা নেটওয়ার্কের সাথে সম্পৃক্ত, সেই বিএসবি গ্লোবাল নেটওয়ার্কের তত্ত্বাবধানেই প্রতি বছর অনেক শিক্ষার্থীকে বিদেশে পড়াশোনার জন্য বৃত্তি দেওয়া হয়। মেধাবী শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়িয়ে ক্যামব্রিয়ান তাদের ভবিষ্যৎ নির্মাণের পথটি সুগম করে দেয় উচ্চশিক্ষার জীবনের শুরুতেই।
পৃথিবীর বিভিন্ন উন্নত দেশের বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বর্তমানে অধ্যনরত আছে ক্যামব্রিয়ানের শিক্ষার্থীরা। অনেকেই পড়াশোনা শেষ করে নিয়োজিত আছেন পেশাগত জীবনে। সন্তানদের উচ্চশিক্ষা নিয়ে যে স্বপ্ন অভিভাবকেরা দেখেন অনেক বছর ধরে, একটি সুযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের হাত ধরে সেই স্বপ্ন সত্যি হওয়া এখন আর অসম্ভব কিছু নাই। উচ্চশিক্ষা অর্জনের মধ্য দিয়ে পৃথিবীর একজন যোগ্য নাগরিক হয়ে সমৃদ্ধ মাতৃভূমি নির্মাণের যে মহান দায়িত্ব রয়েছে আজকের প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের, ক্যামব্রিয়ান সেই দায়িত্ব পালনের পথেই পালন করছে পরম বন্ধুর ভূমিকা।